মহাত্মা গান্ধীর সংক্ষিপ্ত জীবনী - Summary
মোহনদাস কর্মচন্দ গান্ধী বা মহাত্মা গান্ধী (২রা অক্টোবর ১৮৬৯ – ৩০শে জানুয়ারি ১৯৪৮) ছিলেন একজন বিখ্যাত ভারতীয় রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা ও গভীর আধ্যাত্মিক নেতা। তিনি সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা, যা অহিংসা ভিত্তিক প্রতিবাদের মাধ্যমে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। গান্ধীর অহিংস আন্দোলন সারাবিশ্বে মানুষের অধিকার এবং স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচিত হয়।
মহাত্মা গান্ধীর সংক্ষিপ্ত জীবনী ও তথ্য
নাম | মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী বা মহাত্মা গান্ধী |
জন্ম তারিখ | ২ অক্টোবর ১৮৬৯ |
মৃত্যুর তারিখ | ৩০ জানুয়ারি ১৯৪৮ |
জন্মস্থান | পোরবন্দর, গুজরাট, ব্রিটিশ ভারত |
পিতার নাম | করমচাঁদ উত্তমচাঁদ গান্ধী |
মাতার নাম | পুতলিবাই গান্ধী |
দাম্পত্য সঙ্গী | কস্তুরবা মাখাঞ্জী |
সন্তান | হরিলাল গান্ধী, মনিলাল গান্ধী, রামদাস গান্ধী ও দেবদাস গান্ধী |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
উপনাম | মহাত্মা গান্ধী, বাপুজি, গান্ধীজি |
শিক্ষা | ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন |
পেশা | আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, আন্দোলনকারী, লেখক |
কর্মজীবন | ১৮৯৩–১৯৪৮ |
পরিচিতি | ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন ও অহিংস আন্দোলন |
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
পুরষ্কার | টাইম পারসন অব দ্য ইয়ার (১৯৩০) |
মহাত্মা গান্ধীর কর্মজীবনের বিবরণ
- বম্বে হাইকোর্টে তিনি আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন, কিন্তু খুব নার্ভাস থাকতেন এবং সাক্ষীদের প্রশ্ন করতে গিয়ে ঘাবড়িয়ে যেতেন।
- ব্যারিস্টার ডিগ্রি নিয়ে আইনজীবী ক্যারিয়ার খুব সফল হয়নি।
- দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার পর গান্ধী অত্যাচারের বিরুদ্ধে অহিংস সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু করেন।
- ১৮৯৪ সালের ২২ মে তিনি নাটাল ইন্ডিয়ান কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেন, যা দক্ষিণ আফ্রিকার ভারতীয়দের অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিবাহ ও পারিবারিক জীবন
- মোহনদাস করমচন্দ গান্ধীর বিবাহ ১৮৮২ সালে কস্তুরবা মাখেরজীর সঙ্গে হয়।
- তারা পাঁচ সন্তান تھے: হরিলাল, মনিলাল, রামদাস, দেবদাস ও মগনলাল।
- গান্ধীজির ব্যক্তিগত জীবন ছিল সরল, সত্যাগ্রহ ও অহিংসার আদর্শের সঙ্গে মিল রেখে পরিচালিত।
- পরিবারে গান্ধীজির আদর্শ ও শিক্ষার প্রভাব স্পষ্ট ছিল, যা সন্তানদের ব্যক্তিত্ব গঠনে সাহায্য করেছিল।
মোহনদাস ও কস্তুরবা গান্ধীর বিবাহিত জীবন ছিল সংসার ও আন্দোলনের মিল; যেখানে অহিংসা ও সত্যাগ্রহের মূল্য সর্বোচ্চ স্থান পেয়েছিল।
মহাত্মা গান্ধীর স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশেষ অবদান
সাল | প্রধান ঘটনা ও কর্মকাণ্ড |
---|---|
১৮৯৩ | দক্ষিণ আফ্রিকায় অহিংসা সত্যাগ্রহ আন্দোলন শুরু |
১৯১৫ | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান |
১৯১৯ | জালিয়ানওয়ালা বাগ হত্যাকাণ্ড পর অহিংস আন্দোলন |
১৯২০-২২ | নন-কোটিয়াযুদ্ধ অহিংস আন্দোলন (চোলামার্চ) |
১৯৩০ | নমক সত্যাগ্রহ – দণ্ড না পাওয়ার আন্দোলন |
১৯৩৩ | চোলা মার আন্দোলন |
১৯৪২ | ভারত ছাড়ো আন্দোলন |
১৯৪৭ | ভারতের স্বাধীনতা অর্জন |
মহাত্মা গান্ধীর জীবনাবসান
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গান্ধীজিকে দিল্লীর বিরলা ভবনে এক আততায়ী গুলি করে হত্যা করেন। তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সময় “হে রাম” শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন। মৃত্যুর পর, তাঁর দেহভস্ম ভারতের প্রধান নদীগুলিতে যেমন গঙ্গা, আমি দিন এবং অন্যান্য নদীতে ছড়ানো হয়।
গান্ধীজীর পরিচিত লেখা বইসমূহ
বইয়ের নাম | লেখার সাল |
---|---|
সত্যসোধক বা আত্মকথা (The Story of My Experiments with Truth) | ১৯২৫ |
সার্বোদয় (Sarvodaya) | ১৯০৮ |
হিন্দ স্বরাজ (Hind Swaraj) | ১৯০৯ |
অসহিষ্ণুতা (Non-Violence in Peace and War) | ১৯৪২ |
সত্যাগ্রহ আত্মকথা (Satyagraha in South Africa) | ১৯২৮ |
মহাত্মা গান্ধীর জীবনী এবং কর্মজীবনের বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে আরও জানতে চাইলে, আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে মহাত্মা গান্ধীর সংক্ষিপ্ত জীবনী PDF ডাউনলোড করতে পারেন। এতে ২০২৫ সালের তথ্যও থাকবে যা আপনাকে সঠিক ও আপডেটেড তথ্য দেবে।